খ্রীষ্টীয় একবিংশ শতকের দ্বিতীয় দশকের প্রারম্ভ। বঙ্গভাষা এককালীন গৌরবমণ্ডিত স্বর্ণকিরীট অদ্য ভূলুণ্ঠিত। তাহার চলনে সে দীপ্তি নাই, তাহার বসন এক্ষণে মলিন, তাহার দৃষ্টি মূঢ়বৎ, অসহায়।
বিশ্বাস করিতে ক্লেশবোধ হয় যে এই ভাষা কতিপয় দশক পূর্বেও ছিল বিশ্বমধ্যে ভারতের অবিসংবাদী প্রতিভূ। এইকালে বঙ্গসাহিত্যের নানা্ন্ রথী-মহারথী একত্র হইয়াছিলেন, তাঁহাদের প্রতিভার আলোকচ্ছটায় বঙ্গের আকাশ বিকীর্ণ হইয়াছিল। অদ্য সেই অদ্রিকল্প সুউচ্চ দেদীপ্যমান্ প্রতিভাসমূহের অন্তর্ধানের ফলে সৃষ্ট অন্ধকার নিতান্তই অসহ্য ঠেকিতেছে - সদ্যপক্ব সুস্বাদু শূল্য মাংসের পরিবর্তে লবণের অনুপানের সহিত হিমবৎ চর্মতুল্য রোটিকার ন্যায়।
এই স্বর্ণযুগে তিনিও ছিলেন। তাঁর দীপ্তি রবীন্দ্রনাথের ন্যায় সর্বব্যাপী নহে। তাঁর উপস্থিতি বঙ্কিমচন্দ্রের ন্যায় ভাবগম্ভীর, শরৎচন্দ্রের ন্যায় অশ্রুসজল অথবা সুকুমারের ন্যায় সর্বজনগ্রাহ্য নহে। তিনি প্রকৃতপক্ষে কী, তাহা নির্ধারণ করিবার তুল্য ধী সাধারণ পাঠকের সাধ্যাতীত।
তিনি সকল প্রথাগত পরিমাপদণ্ডের ঊর্ধ্বে: বঙ্গসাহিত্যে তাঁর মূল্যয়ন হয় নাই। আর হইবেই বা কীরূপে? বঙ্গভাষার খ্যাতিমহলে পাদচারণারত রবীন্দ্রনাথকে তিনি অকস্মাৎ ভর্জিত মৎস্যাণ্ড কাশমর্দ-সহযোগে অফার করিতে পারেন, অথবা বঙ্কিমচন্দ্রের উষ্ণীষলাঞ্ছিত গাম্ভীর্যকে নস্যাৎ করিয়া তাঁহার পানে কাল্পনিক বন্দুক উঁচাইয়া বলিতে পারেন "গুড়ুম - ফিস্!" তিনি অরণ্যের সৌন্দর্যে বিহ্বল বিভূতিভূষণকে ন্যগ্রোধপরিমণ্ডলা তরুণীর লোভ দেখাইতেই পারেন, অথবা দাবি করিতেই পারেন যে জয় গোস্বামীর প্রকৃত নাম জয়কম্বু।
এহেন ব্যক্তির মূল্যয়ন অসম্ভব। তবে শ্রদ্ধানিবেদন অবশ্যই সম্ভব। আমার, আমাদিগের বঙ্গভাষার প্রতি প্রেমের জন্য তিনি অনেকাংশে দায়ী। এই শ্রদ্ধার্ঘ্য সেই অনুপাতে আনুবীক্ষণিক; তদাপি আমাদিগের পিপীলিকাবৎ নিরলস প্রচেষ্টার ফলে বঙ্গসাহিত্যের অধিষ্ঠাত্রী দেবী তুষ্ট হইয়া নব অবতারে, নবরূপে তাঁহাকে পিঁচুটিনয়না বঙ্গভাষার সেবায় পুনরায় ধরিত্রীবক্ষে প্রেরণ করিতেই পারেন।
হে-হে।
বিশ্বাস করিতে ক্লেশবোধ হয় যে এই ভাষা কতিপয় দশক পূর্বেও ছিল বিশ্বমধ্যে ভারতের অবিসংবাদী প্রতিভূ। এইকালে বঙ্গসাহিত্যের নানা্ন্ রথী-মহারথী একত্র হইয়াছিলেন, তাঁহাদের প্রতিভার আলোকচ্ছটায় বঙ্গের আকাশ বিকীর্ণ হইয়াছিল। অদ্য সেই অদ্রিকল্প সুউচ্চ দেদীপ্যমান্ প্রতিভাসমূহের অন্তর্ধানের ফলে সৃষ্ট অন্ধকার নিতান্তই অসহ্য ঠেকিতেছে - সদ্যপক্ব সুস্বাদু শূল্য মাংসের পরিবর্তে লবণের অনুপানের সহিত হিমবৎ চর্মতুল্য রোটিকার ন্যায়।
এই স্বর্ণযুগে তিনিও ছিলেন। তাঁর দীপ্তি রবীন্দ্রনাথের ন্যায় সর্বব্যাপী নহে। তাঁর উপস্থিতি বঙ্কিমচন্দ্রের ন্যায় ভাবগম্ভীর, শরৎচন্দ্রের ন্যায় অশ্রুসজল অথবা সুকুমারের ন্যায় সর্বজনগ্রাহ্য নহে। তিনি প্রকৃতপক্ষে কী, তাহা নির্ধারণ করিবার তুল্য ধী সাধারণ পাঠকের সাধ্যাতীত।
তিনি সকল প্রথাগত পরিমাপদণ্ডের ঊর্ধ্বে: বঙ্গসাহিত্যে তাঁর মূল্যয়ন হয় নাই। আর হইবেই বা কীরূপে? বঙ্গভাষার খ্যাতিমহলে পাদচারণারত রবীন্দ্রনাথকে তিনি অকস্মাৎ ভর্জিত মৎস্যাণ্ড কাশমর্দ-সহযোগে অফার করিতে পারেন, অথবা বঙ্কিমচন্দ্রের উষ্ণীষলাঞ্ছিত গাম্ভীর্যকে নস্যাৎ করিয়া তাঁহার পানে কাল্পনিক বন্দুক উঁচাইয়া বলিতে পারেন "গুড়ুম - ফিস্!" তিনি অরণ্যের সৌন্দর্যে বিহ্বল বিভূতিভূষণকে ন্যগ্রোধপরিমণ্ডলা তরুণীর লোভ দেখাইতেই পারেন, অথবা দাবি করিতেই পারেন যে জয় গোস্বামীর প্রকৃত নাম জয়কম্বু।
এহেন ব্যক্তির মূল্যয়ন অসম্ভব। তবে শ্রদ্ধানিবেদন অবশ্যই সম্ভব। আমার, আমাদিগের বঙ্গভাষার প্রতি প্রেমের জন্য তিনি অনেকাংশে দায়ী। এই শ্রদ্ধার্ঘ্য সেই অনুপাতে আনুবীক্ষণিক; তদাপি আমাদিগের পিপীলিকাবৎ নিরলস প্রচেষ্টার ফলে বঙ্গসাহিত্যের অধিষ্ঠাত্রী দেবী তুষ্ট হইয়া নব অবতারে, নবরূপে তাঁহাকে পিঁচুটিনয়না বঙ্গভাষার সেবায় পুনরায় ধরিত্রীবক্ষে প্রেরণ করিতেই পারেন।
হে-হে।
- অভিষেক
oshadharon hoyeche!
ReplyDeletehe he ta ki?
ReplyDeleteহে হে টা একঘর...
ReplyDeleteউত্তম। এই লেখনী লড্ডু পিষ্টকের ন্যায় মিষ্ট, ঘৃত-তন্ডুল পরোডাশের ন্যায় সরল, উখ্য মাংস, শূল্য মাংসের ন্যায় উপাদেয়। আপনি পরম ভট্টারক চিত্রক, থুড়ি তিলক বর্মার ন্যায় জয়যুক্ত হউন। জয়মস্তু।
ReplyDeleteপুরোডাশ [ purōḍāśa ] বি. 1 যবের তৈরি রুটি বা মালপোয়াজাতীয় প্রাচীনযুগের খাবারবিশেষ; 2 যজ্ঞীয় ঘৃত ও পশুমাংস। [সং. পুরস্ + √ দাশ্ + অ, দ ড]।
ReplyDelete